বদলানো সময়ের সাথে খাপ খাওয়ানো । মানুষের অভিযোজন ক্ষমতা ও করোনা (Corona)
সময় বদলাচ্ছে। তার সাথে তাল মিলিয়ে বাকি সবকিছুও বদলাচ্ছে। প্রানী জগতের
জন্য এই বদলানোর সাথে খাপ খেয়ে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকে বলে অভিযোজন।
যাদের অভিযোজন ক্ষমতা যত বেশি। সে তার জীবনে সে তত সুখী। আর যাদের এই
ক্ষমতা কম তারা ডিপ্রেশনে ভুগছে। পাস্ট নিয়ে পড়ে আছে। নেই সামনে আগানোর
অনুপ্রেরণা নেই ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠার শক্তি। উদাহরণ স্বরূপ আমরা করোনা কে ধরতে পারি। বাংলাদেশে ও তার আশেপাশের দেশে প্রথম প্রথম যখন করোনা আসে তখনও বেশিরভাগ মানুষের কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখা যায়না। যদিও কিছু মানুষ আতঙ্কিত ছিল। কিন্তু যখন সরকার সবজায়গায় একে একে লকডাউন দিচ্ছিলো তখন বেশিরভাগ মানুষই আতঙ্ককিত হয়ে পরেছিলো। হোক সেইটা করোনার আতঙ্ক অথবা তার জীবিকার আতঙ্ক। এরপর যখনই লকডাউন খুলে দিতে দিতে বেশিরভাগ মানুষই অভিযোজিত হয়ে গেলো পরিবেশের সাথে যা আমরা এখন রাস্তাঘাটে বের হলেই দেখতে পাই। কিন্তু প্রথম প্রথম এরাও রোগটাকে ছোট করে দেখেনি। আতঙ্কিত হয়েছে। আর এখন কেউ কেউ করোনা (Corona) কে কিছুই মনে করছেনা। সাধারণ স্বাস্থ্যবিধিও মানছে না রোগটাকে ভয়ও করছেনা। এইটা সময়ের সাথে সাথে মানুষের অভিযোজন এর একটি প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ।
তবে অধিক হারে অভিযোজন ক্ষমতা থাকাও একটা বড় সমস্যা। মানুষের ভিতরে সহজেই অহংকারের বীজ বুনে বেশি অভিযোজন ক্ষমতা থাকলে। আমাদের আশেপাশে অনেক বেপরোয়া মানুষ দেখে থাকবেন। সে জানেই যে সে যা কিছু করবে তার সাথে সে মানিয়ে নিতে পারবে। তাই বেপরোয়া হয়ে অন্য মানুষকে কষ্ট দেওয়া, নিজ আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করা, এমনকি বেপোরোয়া গাড়ি চালানোও এই অধিক অভিযোজনের ফসল। সুতরাং অভিযোজন কম থাকা ভাল নয়, আবার বেশি থাকাও ভালো নয়। বরং অভিযোজন বেশি হলে ক্ষতি বেশি আর কম হলে ক্ষতি কম কারণ বেশি অভিযোজিত একটি মানুষ অনেক মানুষের সমস্যা, আর কম অভিযোজিত মানুষের ক্ষতি শুধু সেই মানুষেরই নিজের ক্ষতি।
Comments
Post a Comment