হালতির বিল পাটুল, নাটোর নলডাঙ্গা (Mini Cox's Bazar Of Bangladesh)
"প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের এই বাংলাদেশ" ছোটবেলার মুখস্থ করা বিভিন্ন রচনা স্বদেশ প্রেম, বাংলাদেশের রূপবৈচিত্র, আমাদের দেশ, ঋতুবৈচিত্রের বাংলাদেশ, ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ ইত্যাদি প্রায় সব রচনার প্রথম লাইনেই এই কথা অবশ্যই লিখা থাকত। কারোরই ছোটবেলায় দেশটাকে ঐভাবে দেখার ভাগ্য হয়না তেমন। রচনা মুখস্থ করে তেমন জানা না গেলেও এখন এই বাক্যের কথাগুলো অনেকেই অনুধাবন করতে পারি আমরা। কিন্তু সেই সৌন্দর্যের লীলাভূমি দেখতে হলে নিজের চোখ বা দৃষ্টিভঙ্গি টাও সুন্দর হতে হবে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বা মনের চোখ টা সুন্দর হলেই হয়ত আমরা এই দেশটার আসল সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবো। অথবা অনেকে তাদের এই জন্মভূমি কে দেখেও নিজের চোখের সৌন্দর্য বাড়াতে পারেন। চোখ সুন্দর না হলে এগুলো দেখে চোখের সৌন্দর্য নিয়েও আসতে পারেন। এইদেশটাকেই সবসময় আমরা দেখি (সুন্দরভাবে) তাই হয়ত আমার এত সুন্দর মনে হয়। অথবা যারা দেখে দেখে অতিষ্ট তাদের কাছে হয়ত অত সুন্দর লাগেনা। কিন্তু সবার চোখেই সৌন্দর্য টা ধরা পরবে যদি আমাদের দেখার অভ্যাস টা সুন্দর হয়। অন্তত যাদের কোনো কিছুর আর্টিফিশিয়াল বা বস্তুগত রূপ অতটা পছন্দ না তাদের কাছে সহজেই সৌন্দর্য টা ধরা পড়ার কথা। আর যাদের অস্থায়ী বা বস্তুগত সৌন্দর্য পছন্দ তাদের পছন্দ টাও অস্থায়ীই হয় যা পরিবর্তনশীল। কিন্তু তাদের পছন্দের পরিবর্তন টাও বেশীরভাগ সময় বস্তুগতই হয়ে থাকে।
Sunset @Patul |
সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে উঠার সহজ একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন।
প্রাকৃতিক বা ন্যাচারাল সৌন্দর্য তাদের মনে জায়গা করতে পারেনা তেমন। বিশ্বাস করুন, আল্লাহ্ আপনাকে যেই জন্মভূমিতে পাঠিয়েছেন সেইটা আপনার কাছে ভালো লাগতে বাধ্য। এমনকি আমার মনে হয় নিজের জন্মভূমির থেকে সুন্দর আর কোনো জায়গা কারোর কাছে অধিক সুন্দর হতে পারেনা। বাংলাদেশ টা অনেক ছোট হওয়া স্বত্বেও মাতৃভূমির সব আকর্ষনীয় জায়গাগুলো দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমার। কিন্তু আজ পর্যন্ত নিজ ভূমির যত জায়গাই দেখেছি (কৃত্তিমতা ছাড়া) কোনোটাই খারাপ লাগার মত না। ইভেন খুব বেশি ভালো লাগার আর মনে ধরার মত আমাদের দেশের জায়গা গুলো।
সাল টা ২০১১।
নিজ জেলা নাটোরে হওয়াতে সহজেই পরিবারের সাথে যাওয়ার সুযোগ হয় নলডাঙ্গার পাটুল নামক জায়গার, হালতির বিল নামে পরিচিত এই বিলটিতে। জেলার এমনকি দেশের অনেক জায়গায় এই বিলকে মানুষ মিনি কক্সবাজার নামেও চিনে।
সুবিশাল এই বিলের প্রধান আকর্ষন এর একদম মাঝামাঝি দিক দিয়ে দুইগ্রামের মানুষের সংযোগ রক্ষার জন্য নির্মিত একটি পাকা রাস্তা।
রাস্তার দুইদিকের বিস্তৃত এমন সুন্দর ও ঈষদচ্ছ পানি দেখে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য। এখানে নৌকায় ঘুরাও দেশের অন্যান্য জায়গার নৌকাভ্রমণের থেকে তুলনামূলক অনেক সস্তা।
খুব কম খরচের একটা ট্যুর যেখানে আপনি প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
একজন নাটোরবাসী হিসেবে আমি আপনাকে স্বদরে আমন্ত্রন জানাচ্ছি। :)
- সাকিব হোসাইন
২০১১ তে হালতির বিল পাটুলে তোলা আমার ছবি |
১। কিভাবে যাবো নাটোরের পাটুলে?
উত্তরঃ দেশের যেকোনো জেলা থেকে নাটোরের ০ পয়েন্ট বা মাদ্রাসার মোড়ে এসে অটো, সিএনজি, প্রাইভেট কার, মটরসাইকেল ইত্যাদি ছোট গাড়িতে করে যেতে পরবেন। যাতায়াতের রাস্তা বেশ ছোট তাই বাস যেতে পারবেনা।
ওজন সঠিক সীমাতে রাখার স্বাস্থ্য ভিত্তিক অ্যাপ টি প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন।
২। নাটোরে পাটুল সহ অন্যান্য দর্শনিয় স্থান কি কি?
উত্তরঃ নাটরে পাটুল ছাড়াও অন্যান্য অনেক দর্শনীয় স্পট আছে। যেমন বঙ্গজল রাজবাড়ী, দিঘাপতিয়া গণভবন, অদূরেই আছে পুঠিয়ার আরেকটা রাজবাড়ি।
৩। নাটোরে ট্যুরে যেতে খরচ কেমন হবে?
উত্তরঃ দেশের বিভিন্ন জায়গা বা জেলা থেকে নাটোরে আসার ভাড়া বিভিন্ন হবে। বা বাস রিজার্ভ করলেও বিভিন্ন যায়গা থেকে ভাড়া ভিন্ন ভিন্ন হবে। নাটোরে সদর আসার পরের খরচের কথা বলা যেতে পারে। অন্যান্য যেকোনো ট্যুর স্পট এর তুলনায় নাটোরে এসে তেমন খরচ হবেনা। শহর থেকে সব জায়গা অটো/সিএনজি তে যাওয়া যায়। অটো ভাড়া রাজবাড়ী ও গণভবনে ১০ টাকার মত লাগবে জনপ্রতি। রাজবাড়িতে ঢুকতে জনপ্রতি টিকিট ১০ টাকা এবং গণভবনে ঢুকতে জনপ্রতি ২০ টাকা লাগে।(সময় স্বাপেক্ষে টিকিটের মূল্য বাড়তে পারে)
হালতির বিল (পাটুল) , স্টেডিয়াম পার্ক এবং পুঠিয়া রাজবাড়ীতে ঢুকতে কোনো টাকা লাগেনা এখন পর্যন্ত। আসার আগে খোঁজ নিয়ে আসুন।
৪। নাটোর থেকে পিকনিক ট্যুর স্পট গুলোর দূরত্ব কত কত?
উত্তরঃ নাটর মেইন শহর থেকে আকর্শনীয় সব পিকনিক স্পটের দূরত্ব অনেক কম। যেমনঃ বঙ্গজল রাজবাড়ী, যেতে জিরো পয়েন্ট বা মাদ্রাসার মোড় থেকে ৫ মিনিটের মত লাগে অটোতে, এছাড়াও স্টেডিয়াম শিশুপার্ক আর দিঘাপতিয়া রাজবাড়িতেও ৫-১০ মিনিট লাগবে অটোতে। কিন্তু পাটুল বিল টা নল্ডাংগা উপজেলায় হওয়ায়, যেতে অটোতে প্রায় ৩০-৪০ মিনিট লাগে অটোতে, সিএনজি, বা প্রাইভেট কার এ গেলে সময় কম লাগবে। আর পুঠিয়া রাজবাড়িতে রাজশাহীর বাসেই যাওয়া যায়। যেতে ২৫-৩০ মিনিট লাগবে বাসে।
৫. নাটোরের পিকনিকের স্থান গুলো কয়টা পর্যন্ত খোলা থাকে?
উত্তরঃ রাজবাড়ীগুলো আর গণভবন সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। পাটুলে থাকার জন্য কোনো সময়সীমা বা লিমিটেশন নাই। কিন্তু সন্ধ্যার আগেই চলে আসা ভালো।
এছাড়া আরো প্রশ্ন থাকলে পোস্টের কমেন্ট সেকশনে জানাবেন। :)
আরও পড়ুনঃ
দার্জিলিং শহরে ৪ দিনের ভ্রমন
আমাদের স্বাস্থ্য ভিত্তিক অ্যাপ টি প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন।
অ্যাপটি সম্পর্কে আরও জানতে নিচের পোস্ট টি পড়ুন।
ডায়েট অ্যাপ রিভিউ BMI & BMR
গুরুত্বপূর্ন পোস্ট ও অ্যাপ পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন।
Colorful Life Apps
Comments
Post a Comment